অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। স্থানীয় সময় শনিবার গাজায় আরও ছয় জিম্মিকে মৃত উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় ব্যর্থতার দায় নিয়ে ইসরায়েলিদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি। জিম্মিদের উদ্ধারে ইসরায়েলি সরকারের ব্যর্থতার জের ধরে পুরো দেশ উত্তাল হয়ে উঠেছে। হামাস সতর্ক করেছে যে যুদ্ধবিরতি না হলে আরও জিম্মি লাশ হয়ে তাদের পরিবারের কাছে ফিরতে পারে। খবর বিবিসির।
হামাসের সঙ্গে এখনই যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করে বাকি জিম্মিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। পরিস্থিতি এখনও শান্ত হয়নি।
শুধু দেশের অভ্যন্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক ভাবেও বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে ইসরায়েল। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সম্প্রতি ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র সরবাহ বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। এসব অস্ত্র দিয়ে ইসরায়েল বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালাচ্ছে বলে ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীণতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ চালায় ইসরায়েল। প্রায় ১১ মাস ধরে গাজায় সংঘাত চলছে। ইসরায়েলে আক্রমণের সময় ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছরের নভেম্বরে এক সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির মধ্যে বেশ কয়েকজন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর পর জীবিত বা মৃত অবস্থায় আরও কয়েকজন জিম্মিকে উদ্ধার করে ইসরায়েলি সেনারা।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে এখনো ৯৭ জিম্মি আছেন। আর মোট মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জিম্মির। সোমবার নতুন করে হাজার হাজার মানুষ সরকার-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়। সে সময় জিম্মিদের জীবিত অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হওয়ায় নেতানিয়াহুর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাদের স্বজনরা।
টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, জেরুজালেমে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বাড়ির বাইরে একটি বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকজনের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে পুলিশ। সহিংসভাবে বিক্ষোভকারীদের দমন করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিক্ষোভের সময় লোকজনকে ধাক্কা দেওয়া, মাটিতে ফেলে দেওয়া এবং অনেককে টেনে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে।
ওই গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক পুলিশ সদস্য টাইমস অব ইসরায়েলের একজন সাংবাদিকের গলা চেপে ধরেছে। এদিকে হামাস জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর চাপ অব্যাহত থাকলে জিম্মিদের ‘কফিনের ভেতরে’ করে ফেরত পাঠানো হবে।
Leave a Reply